ঢাকা ১২:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আসছে শীত: বাড়তে পারে যেসব রোগ

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০২:০৮:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৭৩ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি:

শীতকালে শীত অনুভূত হয় কারণ জলবায়ুর তাপমাত্রা শরীরের তাপমাত্রার চেয়ে কম থাকে। এ সময় আবহাওয়া শুষ্ক ও রুক্ষ থাকে। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে শুরু করে। ফলে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস ইত্যাদি রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

এ কারণে শীতে বিভিন্ন ধরনের জীবাণুবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। বিশেষ করে এ সময় কমবেশি সবাই শারীরিক সমস্যা, চর্মরোগসহ ফুসফুস সংক্রান্ত নানা সমস্যায় ভোগেন। সব মিলিয়ে এই সময়ে সুস্থ থাকাটা বেশ চ্যালেঞ্জের।

শীতে যেসব রোগ বাড়ে-

গলা ব্যথা এবং কাশি:গলা খুসখুস করা, ঠান্ডায় কাশি হওয়া থেকে শুরু করে রাতে ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসার মতো সমস্যা দেখা দেয় শীতে। গরম বাষ্প নেয়া বা গার্গল করা এবং ঠান্ডা এড়িয়ে চললে অনেক সময় এর সমাধান মেলে।

নিউরোসিস:শীতকালে হাত-পা ঠান্ডা হলে রক্ত চলাচল কমে যায়। স্নায়ু ঝুঁকিতে থাকে। এছাড়া রক্তশূন্যতা রোগী ও বৃদ্ধরাও শীতে নার্ভের জটিলতায় ভোগেন। অতিরিক্ত ঠান্ডায় স্নায়ু ছাড়াও পেশী ও হাড়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে স্নায়ু, হাড় ও পেশীর বিভিন্ন রোগ হয়।

এলার্জি:শীতকালে শুষ্কতার কারণে শরীরের ত্বকও শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে অনেক সময় চুলকানি বা ব্যথা অনুভূত হতে পারে। অ্যালার্জির কারনে কখনও কখনও তীব্র শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ঠান্ডা বা ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যা ছাড়াও শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়।

নাক থেকে রক্ত পড়া:শীতকালে বাতাস শুকনো হয়ে যায়, বাচ্চারা বারবার নাকে হাত দেয়, সর্দির বারবার নাক পরিষ্কার করা হলে এমন সমস্যা হয়। নাক দিয়ে রক্ত পড়লে অভিভাবকদের অবশ্যই ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে।

টনসিলের সমস্যা:শীতের ঠাণ্ডা বাতাস টনসিলের ক্ষতি করে, ফলে প্রদাহ ও ফোলাভাব, গলা ব্যথা এবং গিলতে অসুবিধা হয়। টনসিল ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাক দ্বারা সংক্রামিত হয়, প্রচণ্ড ব্যথা এবং পুঁজ সৃষ্টি করে। ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

মশাবাহিত রোগ: শীতকালে মশাবাহিত ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ডেঙ্গু রোগসহ নানা ভাইরাস জ্বরের রোগের প্রকোপ দেখা যায়। কাঁপুনি দিয়ে উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর আসা, বারবার জ্বর আসা, গিঁটে ব্যথা ইত্যাদির লক্ষণ দেখা গেলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

টিনিটাস: শীতকালে ঠাণ্ডা লাগার কারণে নাক, কান ও গলায় প্রদাহের কারণে টিনিটাস নামক ঝামেলার সমস্যা অনেকেরই হয়ে থাকে। এতে আক্রান্ত কানে অনবরত বাঁশির মতো শব্দ হতে থাকে।

সাইনোসাইটিস:সাইনোসাইটিসের কারণে সাইনাস গ্রন্থিতে শ্লেষ্মা জমে শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শ্বাসযন্ত্রের স্বাভাবিক কাজকর্ম বাধাগ্রস্ত হয়। সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি নাক বন্ধ, মাথাব্যথা, চোখে ব্যথা, মুখ ফুলে যাওয়া, শ্বাস নিতে অসুবিধা, গলার স্বর পরিবর্তনে ভুগে থাকেন।

অন্ত্রের সমস্যা: আকস্মিক ঠাণ্ডা শিশুদের এবং কখনও কখনও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ডায়রিয়া সৃষ্টি করে। বিশেষ করে যখন বেশি ঠান্ডা পড়ে, তখন বয়স্কদেরও পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। এই সমস্যা এড়াতে বাইরের খাবার একেবারে না খাওয়া উচিত।

 

আসছে শীত: বাড়তে পারে যেসব রোগ

আপডেট সময় : ০২:০৮:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি:

শীতকালে শীত অনুভূত হয় কারণ জলবায়ুর তাপমাত্রা শরীরের তাপমাত্রার চেয়ে কম থাকে। এ সময় আবহাওয়া শুষ্ক ও রুক্ষ থাকে। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে শুরু করে। ফলে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস ইত্যাদি রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

এ কারণে শীতে বিভিন্ন ধরনের জীবাণুবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। বিশেষ করে এ সময় কমবেশি সবাই শারীরিক সমস্যা, চর্মরোগসহ ফুসফুস সংক্রান্ত নানা সমস্যায় ভোগেন। সব মিলিয়ে এই সময়ে সুস্থ থাকাটা বেশ চ্যালেঞ্জের।

শীতে যেসব রোগ বাড়ে-

গলা ব্যথা এবং কাশি:গলা খুসখুস করা, ঠান্ডায় কাশি হওয়া থেকে শুরু করে রাতে ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসার মতো সমস্যা দেখা দেয় শীতে। গরম বাষ্প নেয়া বা গার্গল করা এবং ঠান্ডা এড়িয়ে চললে অনেক সময় এর সমাধান মেলে।

নিউরোসিস:শীতকালে হাত-পা ঠান্ডা হলে রক্ত চলাচল কমে যায়। স্নায়ু ঝুঁকিতে থাকে। এছাড়া রক্তশূন্যতা রোগী ও বৃদ্ধরাও শীতে নার্ভের জটিলতায় ভোগেন। অতিরিক্ত ঠান্ডায় স্নায়ু ছাড়াও পেশী ও হাড়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে স্নায়ু, হাড় ও পেশীর বিভিন্ন রোগ হয়।

এলার্জি:শীতকালে শুষ্কতার কারণে শরীরের ত্বকও শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে অনেক সময় চুলকানি বা ব্যথা অনুভূত হতে পারে। অ্যালার্জির কারনে কখনও কখনও তীব্র শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ঠান্ডা বা ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যা ছাড়াও শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়।

নাক থেকে রক্ত পড়া:শীতকালে বাতাস শুকনো হয়ে যায়, বাচ্চারা বারবার নাকে হাত দেয়, সর্দির বারবার নাক পরিষ্কার করা হলে এমন সমস্যা হয়। নাক দিয়ে রক্ত পড়লে অভিভাবকদের অবশ্যই ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে।

টনসিলের সমস্যা:শীতের ঠাণ্ডা বাতাস টনসিলের ক্ষতি করে, ফলে প্রদাহ ও ফোলাভাব, গলা ব্যথা এবং গিলতে অসুবিধা হয়। টনসিল ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাক দ্বারা সংক্রামিত হয়, প্রচণ্ড ব্যথা এবং পুঁজ সৃষ্টি করে। ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

মশাবাহিত রোগ: শীতকালে মশাবাহিত ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ডেঙ্গু রোগসহ নানা ভাইরাস জ্বরের রোগের প্রকোপ দেখা যায়। কাঁপুনি দিয়ে উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর আসা, বারবার জ্বর আসা, গিঁটে ব্যথা ইত্যাদির লক্ষণ দেখা গেলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

টিনিটাস: শীতকালে ঠাণ্ডা লাগার কারণে নাক, কান ও গলায় প্রদাহের কারণে টিনিটাস নামক ঝামেলার সমস্যা অনেকেরই হয়ে থাকে। এতে আক্রান্ত কানে অনবরত বাঁশির মতো শব্দ হতে থাকে।

সাইনোসাইটিস:সাইনোসাইটিসের কারণে সাইনাস গ্রন্থিতে শ্লেষ্মা জমে শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শ্বাসযন্ত্রের স্বাভাবিক কাজকর্ম বাধাগ্রস্ত হয়। সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি নাক বন্ধ, মাথাব্যথা, চোখে ব্যথা, মুখ ফুলে যাওয়া, শ্বাস নিতে অসুবিধা, গলার স্বর পরিবর্তনে ভুগে থাকেন।

অন্ত্রের সমস্যা: আকস্মিক ঠাণ্ডা শিশুদের এবং কখনও কখনও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ডায়রিয়া সৃষ্টি করে। বিশেষ করে যখন বেশি ঠান্ডা পড়ে, তখন বয়স্কদেরও পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। এই সমস্যা এড়াতে বাইরের খাবার একেবারে না খাওয়া উচিত।