ঢাকা ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নবীনগরে লাইভ টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠি Logo নলছিটি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে ঝালকাঠির নলছিটিতে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo বছরের প্রথম উন্মুক্ত কনসার্টে গাইবেন জেমস, সঙ্গে ৭ ব্যান্ড Logo নোমানের রেকর্ডগড়া হ্যাটট্রিক, ১৬৩ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ Logo বিদেশে সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র Logo বিশ্ববাজারে নতুন ইতিহাস সৃষ্টির পথে সোনা Logo আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে না Logo অস্ত্রসহ হত্যা মামলার আসামী সাহাবুদ্দিন গ্রেফতার Logo নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন গণ অধিকার পরিষদের আহবায়ক Logo রাজনীতিতে আসা প্রসঙ্গে যা বললেন ঋতুপর্ণা

আলুর দাম কমলেও এখনো ঝাঁঝালো পেঁয়াজ-আদা-রসুনের বাজার

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০২:৫৬:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১১১ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি :

বেশ কিছুদিন ধরেই অস্থির হয়ে থাকা নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি এনেছে আলু। প্রকারভেদে ৫ টাকা কমে প্রতি কেজি ২৬ টাকা থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর দাম কমলেও, এখনো ঝাঁঝ দেখাচ্ছে পেঁয়াজ, আদা ও রসুন।

এমনকি শীতের শেষের দিকে রাজধানীর বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সবজি। গ্রীষ্মকালীন সবজি পাওয়া গেলেও দাম আকাশচুম্বী।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

পবিত্র শবে বরাতের ছুটি থাকায় বাজারে ক্রেতাদের ভিড় খুব কম দেখা গেছে। ক্রেতা কম হলেও দাম কমেনি সবজির। বরং শীতকালীন প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজি ১০০ টাকার নিচে কিনতে পারছেন না ক্রেতারা।

বাজারে প্রতি কেজি মুলা ৪০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি-বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ব্রকলি ৫০ টাকা, পাকা টমেটো ৪০ টাকা, লাউ ৬০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ১৪০ টাকা, ঢেঁড়স ১২০ টাকা, বরবটি ১৪০ টাকায়, কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, খিরাই ৬০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ৫০ টাকা এবং গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে কচুরমুখী ১০০ টাকা, শসা ১০০ টাকা, ধুন্দুল ১০০ টাকা, জালি কুমড়া ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, পটল ১৪০ টাকা এবং সজনে ডাটা ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

এ বিষয়ে বাজারের সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ছুটির দিনে বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম, ফলে বিক্রিও কম। বাজারে শীতকালীন সবজি পাওয়া গেলেও দাম বেড়েছে। গরমের সবজিও পাওয়া যাচ্ছে তবে দাম বেশি। শুধু আলুর দামই কমেছে। অন্যান্য সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।

এদিকে পেঁয়াজের মৌসুম শুরু হয়েছে। তারপরও সংকট দেখিয়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া চীনা আদা প্রতি কেজি ১৮০ টাকা এবং ভারতীয় আদা প্রতি কেজি ২০০ টাকা। চীনা রসুন ১৮০ টাকা ও দেশি রসুন ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা আরও বলেন, বাজারে এখন নতুন আলু পাওয়া যাওয়ায়, ৫ টাকা কমে আলু বিক্রি হচ্ছে ২৬ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে। আলুর দাম কমলেও পেঁয়াজের দাম কমেনি। এখন পেঁয়াজের মৌসুমে হলেও কমছে না দাম।

আলুর দাম কমলেও এখনো ঝাঁঝালো পেঁয়াজ-আদা-রসুনের বাজার

আপডেট সময় : ০২:৫৬:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি :

বেশ কিছুদিন ধরেই অস্থির হয়ে থাকা নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি এনেছে আলু। প্রকারভেদে ৫ টাকা কমে প্রতি কেজি ২৬ টাকা থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর দাম কমলেও, এখনো ঝাঁঝ দেখাচ্ছে পেঁয়াজ, আদা ও রসুন।

এমনকি শীতের শেষের দিকে রাজধানীর বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সবজি। গ্রীষ্মকালীন সবজি পাওয়া গেলেও দাম আকাশচুম্বী।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

পবিত্র শবে বরাতের ছুটি থাকায় বাজারে ক্রেতাদের ভিড় খুব কম দেখা গেছে। ক্রেতা কম হলেও দাম কমেনি সবজির। বরং শীতকালীন প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজি ১০০ টাকার নিচে কিনতে পারছেন না ক্রেতারা।

বাজারে প্রতি কেজি মুলা ৪০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি-বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ব্রকলি ৫০ টাকা, পাকা টমেটো ৪০ টাকা, লাউ ৬০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ১৪০ টাকা, ঢেঁড়স ১২০ টাকা, বরবটি ১৪০ টাকায়, কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, খিরাই ৬০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ৫০ টাকা এবং গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে কচুরমুখী ১০০ টাকা, শসা ১০০ টাকা, ধুন্দুল ১০০ টাকা, জালি কুমড়া ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, পটল ১৪০ টাকা এবং সজনে ডাটা ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

এ বিষয়ে বাজারের সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ছুটির দিনে বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম, ফলে বিক্রিও কম। বাজারে শীতকালীন সবজি পাওয়া গেলেও দাম বেড়েছে। গরমের সবজিও পাওয়া যাচ্ছে তবে দাম বেশি। শুধু আলুর দামই কমেছে। অন্যান্য সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।

এদিকে পেঁয়াজের মৌসুম শুরু হয়েছে। তারপরও সংকট দেখিয়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া চীনা আদা প্রতি কেজি ১৮০ টাকা এবং ভারতীয় আদা প্রতি কেজি ২০০ টাকা। চীনা রসুন ১৮০ টাকা ও দেশি রসুন ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা আরও বলেন, বাজারে এখন নতুন আলু পাওয়া যাওয়ায়, ৫ টাকা কমে আলু বিক্রি হচ্ছে ২৬ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে। আলুর দাম কমলেও পেঁয়াজের দাম কমেনি। এখন পেঁয়াজের মৌসুমে হলেও কমছে না দাম।