ঢাকা ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আফগানিস্তান এর নিকট পাকিস্তানের হার

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০১:৫১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩ ৩৮ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি:

আফগানিস্তান দেখিয়েছে যখন একটি দলকে অবমূল্যায়ন করা হয় তখন কী হতে পারে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েছে রশিদ খানরা। ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে। এই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হারের স্বাদ দিতে পারলো আফগানিস্তান।

সবচেয়ে বড় কথা, শারজায় আফগান বোলারদের সামনে পিএসএলে দুরন্ত দৌড়ে থাকা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা কোনো রান করতে পারেননি। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯২ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিলো। জবাবে আফগানরা ১৭.৫ ওভারে (১৩ বল হাতে) ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

সিরিজটা আফগানদের বিপক্ষে ছিল। এ কারণে দ্বিতীয় সারির দলও পাঠায় পাকিস্তান। বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদি, ফাখর জামান, মোহাম্মদ রিজওয়ান, হারিস রউফদের বিশ্রাম দিয়ে দল গঠন করেছে আফগানদের বিপক্ষে। নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শাদাব খানকে।

তবে কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেওয়া হলেও শাদাব খানের দলে পারফর্মারদের কমতি নেই। পিএসএলে পারফর্ম করা সিয়াম আইয়ুব, আজম খান, মোহাম্মদ হারিস, আবদুল্লাহ শফিকি বা তাইব তাহিরকে ব্যাটার হিসেবে রাখা হয়েছে। সঙ্গে ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, ফাহিম আশরাফ অলরাউন্ডার। নাসিম শাহ, জামান খান ও ইহসানউল্লাহ বোলার। এমন পারফরমার থাকা সত্ত্বেও আফগানদের সঙ্গে পাত্তা পায়নি পাকিস্তান।

শারজাহ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক শাদাব খান। ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। ৬ রান করে বিদায় নেন মোহাম্মদ হারিস। কোনো রান না করে ফিরে যান আব্দুল্লাহ শফিকী।

সিয়াম আউব ১৭ রানে আউট হন। ১৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তৈয়ব তাহির। আজম খান কোনো রান করতে পারেননি। তবে বাংলাদেশের বিপিএল ও পাকিস্তানের পিএসএল-এ সেঞ্চুরি রয়েছে তাদের কারও কারও। সর্বোচ্চ ১৮ রান এসেছে ইমাদ ওয়াসিমের ব্যাট থেকে।

শাদাব খান আউট হন ১২ রান করে। পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের কেউই দুই অংকের ঘরই ছুঁতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৯২ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। আফগানদের পক্ষে ফজল হক ফারুকী, মুজিব-উর রহমান ও মোহাম্মদ নবী নেন ২টি করে উইকেট। আজমতুল্লাহ ওমরজাই, নাভিন-উল হক, রশিদ খান ১টি করে উইকেট নেন।

অল্প রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামে আফগানরা। ৪৫ রানের মধ্যেই গুটিয়ে যায় তাদের ৪ উইকেট। ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান আউট হন ৯ রানে, আউট হন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ১৬ রানে। ২ বল খেলে কোনো রান না করে আউট হন গুলবাদিন নাইব। করিম জানাত আউট হন ৭ রানে।

তবে আফগানদের জয় এনে দেন দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবী ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। দুজনে ৪৯ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন দুজনেই। মোহাম্মদ নবী ৩৮ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন এবং নাজিবুল্লাহ জাদরান ২৩ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।

আফগানিস্তান এর নিকট পাকিস্তানের হার

আপডেট সময় : ০১:৫১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি:

আফগানিস্তান দেখিয়েছে যখন একটি দলকে অবমূল্যায়ন করা হয় তখন কী হতে পারে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েছে রশিদ খানরা। ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে। এই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হারের স্বাদ দিতে পারলো আফগানিস্তান।

সবচেয়ে বড় কথা, শারজায় আফগান বোলারদের সামনে পিএসএলে দুরন্ত দৌড়ে থাকা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা কোনো রান করতে পারেননি। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯২ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিলো। জবাবে আফগানরা ১৭.৫ ওভারে (১৩ বল হাতে) ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

সিরিজটা আফগানদের বিপক্ষে ছিল। এ কারণে দ্বিতীয় সারির দলও পাঠায় পাকিস্তান। বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদি, ফাখর জামান, মোহাম্মদ রিজওয়ান, হারিস রউফদের বিশ্রাম দিয়ে দল গঠন করেছে আফগানদের বিপক্ষে। নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শাদাব খানকে।

তবে কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেওয়া হলেও শাদাব খানের দলে পারফর্মারদের কমতি নেই। পিএসএলে পারফর্ম করা সিয়াম আইয়ুব, আজম খান, মোহাম্মদ হারিস, আবদুল্লাহ শফিকি বা তাইব তাহিরকে ব্যাটার হিসেবে রাখা হয়েছে। সঙ্গে ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, ফাহিম আশরাফ অলরাউন্ডার। নাসিম শাহ, জামান খান ও ইহসানউল্লাহ বোলার। এমন পারফরমার থাকা সত্ত্বেও আফগানদের সঙ্গে পাত্তা পায়নি পাকিস্তান।

শারজাহ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক শাদাব খান। ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। ৬ রান করে বিদায় নেন মোহাম্মদ হারিস। কোনো রান না করে ফিরে যান আব্দুল্লাহ শফিকী।

সিয়াম আউব ১৭ রানে আউট হন। ১৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তৈয়ব তাহির। আজম খান কোনো রান করতে পারেননি। তবে বাংলাদেশের বিপিএল ও পাকিস্তানের পিএসএল-এ সেঞ্চুরি রয়েছে তাদের কারও কারও। সর্বোচ্চ ১৮ রান এসেছে ইমাদ ওয়াসিমের ব্যাট থেকে।

শাদাব খান আউট হন ১২ রান করে। পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের কেউই দুই অংকের ঘরই ছুঁতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৯২ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। আফগানদের পক্ষে ফজল হক ফারুকী, মুজিব-উর রহমান ও মোহাম্মদ নবী নেন ২টি করে উইকেট। আজমতুল্লাহ ওমরজাই, নাভিন-উল হক, রশিদ খান ১টি করে উইকেট নেন।

অল্প রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামে আফগানরা। ৪৫ রানের মধ্যেই গুটিয়ে যায় তাদের ৪ উইকেট। ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান আউট হন ৯ রানে, আউট হন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ১৬ রানে। ২ বল খেলে কোনো রান না করে আউট হন গুলবাদিন নাইব। করিম জানাত আউট হন ৭ রানে।

তবে আফগানদের জয় এনে দেন দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবী ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। দুজনে ৪৯ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন দুজনেই। মোহাম্মদ নবী ৩৮ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন এবং নাজিবুল্লাহ জাদরান ২৩ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।