ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক মানের আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০১:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১২৩ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি:

আন্তর্জাতিক মানের আইকনিক রেলস্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে পর্যটন শহর কক্সবাজারে। স্টেশনে রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সব ধরনের ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নান্দনিক এ রেলস্টেশনের উদ্বোধন করেছেন। একই সময়ে তিনি দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনেরও উদ্বোধন করেছেন।

শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে তিনি স্টেশনটির উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে কক্সবাজার যুক্ত হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রমতে, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে ঝিলংজায় ২৯ একর জমিতে ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে চোখধাঁধানো আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন। পুরো স্টেশনের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে চারপাশে ব্যবহার করা হয়েছে কাচ। ছাদের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক স্টিল ক্যানোফি। ফলে দিনের বেলা বাড়তি আলো ব্যবহার করতে হবে না স্টেশনে। আর অত্যাধুনিক নির্মাণশৈলীর কারণেই একে বলা হচ্ছে ‘গ্রিন স্টেশন’।

সকাল ১১টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সকাল ১১:২৫ মিনিটে, আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানায় সংখ্যালঘু রাখাইন সম্প্রদায়ের একদল তরুণী যারা রাখাইন নৃত্য পরিবেশন করে। নাচ শেষে প্রধানমন্ত্রী প্রটোকল ভেঙে তরুণ রাখাইন নারীদের সঙ্গে ছবি তুলে তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

র‌্যালিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরোয়ার কমল, আওয়ামী লীগের দলীয় নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি ৬ জুলাই ২০১০ তারিখে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য অনুমোদন পায়। ২০১৩ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল একনেকে অনুমোদিত হয় এবং এ লাইনে ১২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৮৫২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। কিন্তু জমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ২০১৬ সালে সংশোধিত প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকায়। এ বাজেটে এডিবি ঋণ দেয় ১৩ হাজার ১১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা আর বাকি চার হাজার ৯১৯ কোটি সাত লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মানের আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি:

আন্তর্জাতিক মানের আইকনিক রেলস্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে পর্যটন শহর কক্সবাজারে। স্টেশনে রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সব ধরনের ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নান্দনিক এ রেলস্টেশনের উদ্বোধন করেছেন। একই সময়ে তিনি দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনেরও উদ্বোধন করেছেন।

শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে তিনি স্টেশনটির উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে কক্সবাজার যুক্ত হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রমতে, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে ঝিলংজায় ২৯ একর জমিতে ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে চোখধাঁধানো আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন। পুরো স্টেশনের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে চারপাশে ব্যবহার করা হয়েছে কাচ। ছাদের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক স্টিল ক্যানোফি। ফলে দিনের বেলা বাড়তি আলো ব্যবহার করতে হবে না স্টেশনে। আর অত্যাধুনিক নির্মাণশৈলীর কারণেই একে বলা হচ্ছে ‘গ্রিন স্টেশন’।

সকাল ১১টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সকাল ১১:২৫ মিনিটে, আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানায় সংখ্যালঘু রাখাইন সম্প্রদায়ের একদল তরুণী যারা রাখাইন নৃত্য পরিবেশন করে। নাচ শেষে প্রধানমন্ত্রী প্রটোকল ভেঙে তরুণ রাখাইন নারীদের সঙ্গে ছবি তুলে তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

র‌্যালিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরোয়ার কমল, আওয়ামী লীগের দলীয় নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি ৬ জুলাই ২০১০ তারিখে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য অনুমোদন পায়। ২০১৩ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল একনেকে অনুমোদিত হয় এবং এ লাইনে ১২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৮৫২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। কিন্তু জমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ২০১৬ সালে সংশোধিত প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকায়। এ বাজেটে এডিবি ঋণ দেয় ১৩ হাজার ১১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা আর বাকি চার হাজার ৯১৯ কোটি সাত লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে।