অনলাইন ভোটিং চালু করতে ভারতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে ইসি
- আপডেট সময় : ০২:১৩:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩ ১১০ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি:
অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা চালু করতে ভারতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে কবে নাগাদ চালু হবে, তার নিশ্চয়তা নেই।
রোববার (১২ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে ‘স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি’ নামের অ্যাপ ও ‘অনলাইন নমিনেশন সাবমিশন সিস্টেম’ (ওএনএসএস) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনলাইন ভোটিং, ঘরে বসে ভোট এটা পৃথিবীর কোথাও হয়নি এখনো। তবে ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি আমাকে জানিয়েছেন যে, তারা চেষ্টা করছেন, ঘরে বসে মোবাইলে অনলাইন ভোটিংয়ের ব্যবস্থা করার। আমার বিশ্বাস ওটা হয়তো বাস্তবায়িত হবে। বাস্তবায়িত হলে আমরা হয়তো বলতে পারবো, আমরাও সেটা করতে পারবো কি-না। কিন্তু তার আগে আমরা এখন কোনো রকম নিশ্চয়তা দিতে পারবো না যে অনলাইন ভোটিং সিস্টেম কবে চালু হবে।
সিইসি বলেন, প্রথম যে প্রযুক্তিটা আমরা ব্যবহার করতাম, সেটা হলো রেডিওতে খবর শুনতাম, এখন মোবাইলেও খবর শুনতে পাই। প্রযুক্তির যে পরিবর্তন গত ৫০-৬০ বছরে হয়েছে তা অবিস্মরণীয়। এই পরিবর্তন-উন্নয়নকে যদি আমরা গ্রহণ করতে না পারি, তাহলে আমরা পিছিয়ে যাবো।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আজকে যে পদ্ধতি যেটা প্রবর্তনের কথা বলা হচ্ছে, এটা শুধু আমাদের তথ্য সরবরাহ সহজ ও দ্রুত করে দেবে তা নয়, স্বচ্ছতার ক্ষেত্রেও এটি খুবই সহায়ক হবে। অর্থাৎ দুই ঘণ্টা পরে কী (ভোট পড়ার হার) পেলাম, চার ঘণ্টা পরে কী পেলাম, ছয় ঘণ্টা পরে কী পেলাম, হঠাৎ করে আকাশচুম্বি কিছু একটা হয়ে যায়, তখন কিন্তু বিশ্লেষণের একটা সুযোগ হবে। কাজেই এটা কিন্তু স্বচ্ছতার সৃষ্টি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সিইসি বলেন, আমাদের একটু কষ্ট করে শিখে নিতে হবে অ্যাপের মাধ্যমে কিভাবে বিভিন্ন তথ্যগুলো আমরা অবলোকন করবো। আর অনলাইন মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়টা যেটা বলা হয়েছে, এটা কিন্তু বেশ কয়েকটি উপ-নির্বাচনে এটা আমরা করেছি। এটা অসম্ভব কিছু না। এটা ব্যবহারের মাধ্যমে সহজ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরও প্রযুক্তির মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। ভারতের আছে। আমরা অনুকরণ করে আরও আধুনিক করেছি। মনোনয়নপত্র তোলা বা জমা দেওয়ার সময় শোডাউন আমাদের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। এতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হতে পারে। মাঝে মাঝে সংঘর্ষও হতে পারে। তাই এটা সহজ করা হয়েছে।
সিইসি বলেন, আমরা বিশ্বাস অ্যাপটা নির্ভরযোগ্য হবে। অনলাইন নমিনেশন দলগুলো ব্যবহার করবেন। অ্যাপটা সাধারণে যদি অ্যাপটা ব্যবহার করে উপকৃত হবেন। অ্যাপল, অ্যানড্রয়োমেড যে কোনো ফোনেই এটা ব্যবহার করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে আরও চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।













