অতিরিক্ত ‘প্যারাসিটামল’ খেয়ে মারাত্মক কোনো রোগ বয়ে আনছেন না তো?
- আপডেট সময় : ০২:০৮:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩ ২০১ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি:
জ্বর, মাথাব্যথার সমস্যায় ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে প্রায় সবাই প্যারাসিটামল খান। কিন্তু এই অভ্যাস বিপজ্জনক হতে পারে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতে, জ্বর, মাথাব্যথা, হাত-পায়ে ব্যথার মতো সমস্যার জন্য প্যারাসিটামল অত্যন্ত কার্যকর ও নিরাপদ ওষুধ।
কিন্তু সমস্যা হল অনেকেই সঠিক নিয়ম অনুযায়ী এই ওষুধ খান না। আর এ কারণেই তারা প্যারাসিটামল ওভারডোজে সমস্যা পড়েন। জেনে নিন এক্ষেত্রে প্রাথমিক লক্ষণগুলো কী কী-
আপনি যদি ঘন ঘন প্যারাসিটামল খাওয়ার অভ্যাস করে থাকেন তবে প্রাথমিকভাবে আপনাকে সমস্যায় ফেলতে পারে বমি বমি ভাব। এমনকি অস্বস্তি হতে পারে।
তারপর ধীরে ধীরে বুকের ডান পাশের পাঁজরের নিচে ব্যথা শুরু হতে পারে। এমনকি ফ্যাকাশে ত্বক এবং চোখ (জন্ডিস) হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাই প্যারাসিটামল ওভারডোজের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
এর যেসব উপসর্গ থাকতে পারে-
১. আশপাশে কী ঘটছে তা বুঝতে সমস্যা হতে পারে
২. ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে পারে কিডনি
৩. প্রস্রাবের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে
৪. সুগার ফলও করতে পারে
৫. শ্বাস-প্রশ্বাসের গতিবেগ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে
৬. কিছু কিছু ক্ষেত্রে পিছু নিতে পারে অবসাদ।
যদি এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি দেখা দেয় তবে রোগীকে অবিলম্বে হাসপাতালের জরুরি কক্ষে নিয়ে যেতে হবে। রোগীর লক্ষণ শোনার পর, ডাক্তার সমস্যা সম্পর্কে একটি অনুমান করবেন এবং চিকিৎসা শুরু করবেন।
তবে শিশুদের প্যারাসিটামল দেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। অন্যথায় ডোজ খুব বেশি হয়ে গেলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর তখনই আপনার ছোট্ট সোনা বড় সমস্যায় পড়তে পারে।
এদিকে, প্রাপ্তবয়স্করা প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর প্যারাসিটামল খেতে পারেন। এতে আপনি উপকৃত হবেন। প্রসঙ্গত, ওজন ৫০-এর বেশি হলে প্যারাসিটামল ৬৫০ সহজেই সেবন করা যায়।
















