ঢাকা ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অপো’র ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ৩এক্স হ্যান্ডসেটের উপর অফারের ঘোষণা মূল্যছাড় ও বাই ওয়ান গেট ওয়ান Logo গতিতে নাকাল পাকিস্তান, ফাইনালে উঠতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১১৭ Logo রাজশাহীতে শুটিং হওয়া ফারুকীর ‌‘৮৪০’ আসছে Logo শিগগির চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট Logo বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট, ক্রেতারা ফিরছেন খালি হাতে Logo ভয়মুক্ত সম্প্রীতিময় নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি: প্রধান উপদেষ্টা Logo বর্ষপূর্তিতে স্মার্টফোন কিনলে উপহার ও ছাড় দেবে ভিভো Logo যুব বিশ্বকাপ ২০২৫ এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় বাংলাদেশ জাতীয় যুব হকি দলকে বিমান বাহিনী প্রধানের সংবর্ধনা Logo এবার শুটিং সেটে সালমানকে হত্যার হুমকি Logo বাংলাদেশের সঙ্গে উগ্র আচরণ করে শাস্তি পেলেন দুই ক্যারিবিয়ান

অতিরিক্ত গ্যাসের ওষুধ সেবনে বাড়তে পারে একাধিক রোগের ঝুঁকি!

বাংলাদেশ কণ্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৪:০৪:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪ ১৯৪ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি :

আক্ষরিক অর্থে অনেকেরই গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। অল্প একটু ঢেকুর উঠলে কিংবা বমি ভাব, বদহজম বা গ্যাস হলেই এ ধরনের ওষুধ খান কমবেশি সবাই। কিন্তু এ ধরনের ওষুধ শরীরে আরও গভীর সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। গ্যাসের ওষুধ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

আমেরিকান একাডেমি অফ নিউরোলজি গত বছর একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ডিমেনশিয়ার ঝুঁকির কথা। যাদের গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা বেশি, তাদের ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে।

আমেরিকান একাডেমি অফ নিউরোলজিতে গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (এঊজউ) নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এটি একটি বিশেষ সমস্যা যা খাদ্যনালীর চেহারা বেশ কিছুটা পরিবর্তন করে। জিইআরডি রোগের জন্য অনেককেই ওষুধ খেতে হয়।

যারা ওষুধের উচ্চ মাত্রা গ্রহণ করেন তাদের মধ্যে ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি দেখা গেছে। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ওষুধের কারণেই যে ডিমেনশিয়া হয় তা বলা যায় না।

গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ: এটি খাদ্যনালীর একটি বিশেষ সমস্যা। পেটে প্রচুর অ্যাসিড থাকে। যেখানে খাদ্যনালী পাকস্থলীর সাথে মিলিত হয়, সেখানে একটি ভাল্ব থাকে। এই ভালভ পেটের অ্যাসিডকে খাদ্যনালীতে আসতে বাধা দেয়। কিন্তু ভালভ ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এসিড খাদ্যনালীতে উঠে যায়। এতে গলা ও বুকে জ্বালাপোড়া হয়। এর জন্য ওষুধ খেতে হবে।

ড্রাগ রেসিসটেন্স: এটি সম্ভবত সবচেয়ে বড় সমস্যা। ডাক্তাররা প্রায়ই এই সমস্যা সম্পর্কে কথা বলেন। দেখা গেছে কোনো ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন করলে শরীর ধীরে ধীরে সেই ওষুধের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়।

এমনকি ওষুধের প্রভাবও এক পর্যায়ে কমতে শুরু করে। পরে ওষুধটিও নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তাই প্রয়োজন ছাড়া গ্যাসের ওষুধ খেতে নিষেধ করেন একদল চিকিৎসক।

অনেক গ্যাসের ওষুধের মাথাব্যথার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এছাড়াও, অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে। এছাড়াও, গ্যাসের ওষুধের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। যার মধ্যে একটি হল মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাব।

 

অতিরিক্ত গ্যাসের ওষুধ সেবনে বাড়তে পারে একাধিক রোগের ঝুঁকি!

আপডেট সময় : ০৪:০৪:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি :

আক্ষরিক অর্থে অনেকেরই গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। অল্প একটু ঢেকুর উঠলে কিংবা বমি ভাব, বদহজম বা গ্যাস হলেই এ ধরনের ওষুধ খান কমবেশি সবাই। কিন্তু এ ধরনের ওষুধ শরীরে আরও গভীর সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। গ্যাসের ওষুধ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

আমেরিকান একাডেমি অফ নিউরোলজি গত বছর একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ডিমেনশিয়ার ঝুঁকির কথা। যাদের গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা বেশি, তাদের ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে।

আমেরিকান একাডেমি অফ নিউরোলজিতে গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (এঊজউ) নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এটি একটি বিশেষ সমস্যা যা খাদ্যনালীর চেহারা বেশ কিছুটা পরিবর্তন করে। জিইআরডি রোগের জন্য অনেককেই ওষুধ খেতে হয়।

যারা ওষুধের উচ্চ মাত্রা গ্রহণ করেন তাদের মধ্যে ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি দেখা গেছে। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ওষুধের কারণেই যে ডিমেনশিয়া হয় তা বলা যায় না।

গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ: এটি খাদ্যনালীর একটি বিশেষ সমস্যা। পেটে প্রচুর অ্যাসিড থাকে। যেখানে খাদ্যনালী পাকস্থলীর সাথে মিলিত হয়, সেখানে একটি ভাল্ব থাকে। এই ভালভ পেটের অ্যাসিডকে খাদ্যনালীতে আসতে বাধা দেয়। কিন্তু ভালভ ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এসিড খাদ্যনালীতে উঠে যায়। এতে গলা ও বুকে জ্বালাপোড়া হয়। এর জন্য ওষুধ খেতে হবে।

ড্রাগ রেসিসটেন্স: এটি সম্ভবত সবচেয়ে বড় সমস্যা। ডাক্তাররা প্রায়ই এই সমস্যা সম্পর্কে কথা বলেন। দেখা গেছে কোনো ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন করলে শরীর ধীরে ধীরে সেই ওষুধের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়।

এমনকি ওষুধের প্রভাবও এক পর্যায়ে কমতে শুরু করে। পরে ওষুধটিও নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তাই প্রয়োজন ছাড়া গ্যাসের ওষুধ খেতে নিষেধ করেন একদল চিকিৎসক।

অনেক গ্যাসের ওষুধের মাথাব্যথার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এছাড়াও, অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে। এছাড়াও, গ্যাসের ওষুধের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। যার মধ্যে একটি হল মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাব।